| |
               

মূল পাতা জাতীয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় ষড়যন্ত্র  বরদাস্ত করা হবে না : খেলাফত আন্দোলন 


বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় ষড়যন্ত্র  বরদাস্ত করা হবে না : খেলাফত আন্দোলন 


রহমত নিউজ     04 December, 2024     09:25 PM    


আগরতলায় বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনে হামলা ও স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে দেয়াসহ ভারতীয় ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে খেলাফত আন্দোলন।

সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেছেন,ভারতের তাঁবেদার শেখ হাসিনা  সেদেশে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে মুদি সরকার। ষড়যন্ত্র বন্ধ করা না হলে ভারত ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা  পুড়িয়ে এবং উপ হাই কমিশনে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। অবিলম্বে দোষীদের গ্ৰেফতার করে  বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং এজন্য ভারত সরকারকে বাংলাদেশের কাছে  প্রকাশ্য ক্ষমা চাইতে হবে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাদ আছর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে আগরতলায় উগ্ৰবাদী হিন্দু গোষ্ঠী কর্তৃক বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনে হামলা, ভাংচুর ও পতাকা পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মিছিলটি উত্তর গেট থেকে দৈনিক বাংলা মোড় গিয়ে শেষ হয়।

মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা অনেক নিরাপদে আছে দাবি করে বলেন,বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় শত ভাগ নাগরিক সুবিধা পাচ্ছেন। অথচ ভারতের সংখ্যালঘুরা প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রীয় ও জাতিগত নির্যাতন- নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।  বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রয়োজন নেই, মুসলমানদের রক্ষায় ভারতে শান্তি বাহিনী পাঠানো উচিত।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মুফতী আবুল হাসান কাসেমী, মুফতী জাকির হোসেন প্রমুখ।

 মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ভারতে সংখ্যালঘুরা স্বস্তিতে নেই। ভারতে মুসলমানদের বাড়িঘর, দোকান পাট ভাঙচুর করা হয়, ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভাঙার পর থেকে মন্দিরের খোঁজে মসজিদ ভাঙার চেষ্টা চলছে। এমনকি আজমির শরীফে ও মন্দিরের খোঁজে খনন কার্য করার চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সম্বল এলাকায় মোগল আমলের নির্মিত শাহী জামে মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা নিয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।  রিপাবলিক টিভি সহ ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ভুয়া সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র প্রমাণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আইন সবার জন্য সমান। নাগরিক হিসেবে অপরাধ করলে যে কেউ বিচারের সম্মুখীন হবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু যখনই কোন সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয় তখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রশ্ন তুলে ভারত চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। 
মাওলানা সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, ধর্মীয় বিভাজন ও উগ্রতা ছড়ানোর কারিগর নরেন্দ্র মোদির দেশ ভারতে সংখ্যালঘুরা স্বস্তিতে নেই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বাংলাদেশকে অশান্ত করার যেকোনো ষড়যন্ত্র এদেশে জনগণ রুখে দিবে।

মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী বলেন,  কলকাতার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বাংলাদেশী রোগীদের চিকিৎসা না দেয়ার ঘোষণাকে অমানবিক ঘোষণা করে এর নিন্দা জানিয়ে  তিনি বলেন, বাংলাদেশী রোগীরা চিকিৎসা নিতে ভারতে না গেলে  তাদের হাসপাতাল ব্যবসায় ধ্বস নামবে। বাংলাদেশ সরকারের উচিত বাংলাদেশী রোগীরা যাতে চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে না হয়, সেজন্যে হাসপাতালগুলোকে আধুনিকায়ন করে বাংলাদেশী নাগরিকদের  উন্নত সুচিকিৎসার সুব্যবস্থা করা। কথিত হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় এর পক্ষ নিয়ে  দেশ বিরোধী  কোন ভিনদেশী ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করবে না এ দেশের জনগণ।